ঢাকাSunday , 22 September 2024
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস ঐতিহ্য
  5. করোনা আপডেট
  6. ক্যাম্পাস
  7. ক্রীড়া জগৎ
  8. জাতীয়
  9. তথ্য প্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. নারী অধিকার
  12. প্রবাস সংবাদ
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. সম্পাদকীয়
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কাজই শুরু হয়নি, প্রায় পুরো বিল চার কোটি টাকা নিয়ে গেছে ঠিকাদার

প্রতিবেদক
-
September 22, 2024 2:47 am
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুক্তি সম্পাদনের সাতদিনের মাথায় প্রায় সমুদয় বিল তুলে নিয়ে গেছে ঠিকাদার চুক্তি সম্পাদন হয় চলতি বছরের জুন কাজ শুরুর তারিখ নির্ধারণ ছিল জুন কাজের চুক্তিমূল্য কোটি ৪৫ লাখ ৫৩২ টাকা কাজ শুরু না করেই ঠিকাদারকে প্রথম চলতি বিল হিসেবে গত জুন দেওয়া হয়েছে কোটি ২৩ হাজার টাকা

ঘটনাটি কিশোরগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কাজ শুরু না করা স্বত্বেও প্রায় সমুদয় টাকার বিল দেওয়ার বিষয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, আমার হাত দিয়ে তো কত বিলই যাচ্ছে এই বিলটি গেছে কিনা জানা নেই

ময়মনসিংহ অঞ্চল পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের (এমআরআরআইডিপি) আওতায় কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার ঢাকী ইউনিয়নের আতপাশা বাজার সড়কসহ আতপাশা বাজার লিংক রোড ( হাজার ৩৮০ মিটার) নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় যার প্যাকেজ নম্বর এমআরআরআইডিপি / ২৪ / কিশ / মিঠ / ইউএনআর /২৪০ সড়কটি নির্মাণের প্রাক্কলিত মূল্য নির্ধারণ করা হয় কোটি ৯৪ লাখ ৪৫ হাজার ৩৬ টাকা আর চুক্তিমূল্য ছিল কোটি ৪৫ লাখ ৫৩২ টাকা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রাজধানীর স্মার্ট কনস্ট্রাকশন লি. কাজটি বাস্তবায়নের কথা রয়েছে

প্রকল্প এলাকা ঘুরে নির্মাণ কাজের কোনো আলামতই দেখা যায়নি এলাকাবাসীও জানেনা কাজের বিষয়ে ঢাকী ইউনিয়নের মামুদপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমাদের এলাকায় কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তা হবে, সেটা আপনার কাছ থেকেই জানলাম কাজ হলে তো নির্মাণসামগ্রি আনার কথা এমন কিছু এখনো দেখিনি

ঢাকী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান রুবেল জানান, পানি কমলে কাজ শুরু করবে বলে ঠিকাদারের লোকজন জানিয়েছিল কিন্তু কাজ শুরুর আগেই প্রায় সমুদয় বিল কী করে তুলে নিল, সেটা আমার মাথায় আসছেনা

এখনো কাজ শুরু হয়নি স্বীকার করে মিঠামইন উপজেলা প্রকৌশলী ফয়জুর রাজ্জাক বলেন, সংক্রান্ত কোনো নথিপত্র মিঠামইন অফিসে নেই সবকিছুই রয়েছে নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিসে বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবোনা কোনো কিছু জানতে হলে নির্বাহী প্রকৌশলীর অফিস থেকে জেনে নিতে পারেন

এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আমিরুল ইসলাম কাজ শুরু না হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, বিল নিয়েছে কিনা আমার ফাইলে নেই স্মার্টের নামে অনেকগুলো বিল গেছে এই কাজের বিল গেছে কিনা আমার জানা নেই

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, কর্মকর্তাদেরকে মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে ঠিকাদার এই কাজের বিল নিয়ে গেছে, যা নজিরবিহীন কাজ না করেই পুরো টাকা আত্মসাত কিংবা নামেমাত্র কাজটি দেখিয়ে সিংহভাগ টাকা আত্মসাতের অভিপ্রায় থেকে এমনটি হতে পারে সূত্রটি আরো জানায়, সঠিক অনুসন্ধানে এলজিইডির এমন অনেক কাজের ঘাপলা বেরিয়ে আসবে

উল্লেখ্য, চুক্তি অনুযায়ী কাজটি আগামী বছরের ৬ জুলাই শেষ হওয়ার কথা।

আপনার মন্তব্য করুন