নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে দরিদ্র কৃষক নিবু মিয়া হত্যা মামলায় নিহতের ছেলেসহ চার আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে দুজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। নিবু মিয়ার কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যেই তাকে হত্যা করা হয়।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী শনিবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ সুপার জানান, গত ২০ অক্টোবর দুপুরে বাজিতপুর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের তেলিবাড়ি বন্দে বিএডিসির প্রকল্প হাউজের পানির ড্রেনের মধ্যে নিবু মিয়ার লাশ পাওয়া যায়। অজ্ঞাত দুস্কৃতিকারীরা তাকে হাত-পা ও মুখ বেধে গলা কেটে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আব্দুর রহমান হৃদয় বাদী হয়ে বাজিতপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাজিতপুরের দক্ষিণ পিরিজপুর বাজারের আব্দুল হাই মেম্বারের হোটেল থেকে বাবুল মিয়াকে (৩২) গ্রেফতার করে। তিনি বাজিতপুরের সুলতানপুর গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে। গ্রেফতারের পর তিনি স্বীকার করেন যে, এ খুনের সঙ্গে জড়িত সবাই মিলে ভিকটিমের ৭০ হাজার টাকা ভাগ বাটোয়ার করে নিয়ে যায়। বাবুল মিয়ার ভাগে পড়ে ৯ হাজার টাকা। এরমধ্যে ৮ হাজার টাকা তিনি খরচ করে ফেলেন। গ্রেফতারের পর একহাজার টাকা তিনি বের করে দেন। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পরে আরো তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হলেন নিহত নিবু মিয়ার ছেলে সোহেল মিয়া (২৪), সুলতানপুর বড়কান্দা গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম (৪৫) ও ডুয়াইগাঁও গ্রামের ফালু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া (২৬)। পুলিশ এ হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরা ও একটি গামছা জব্দ করেছে।
শনিবার বিকালে গ্রেফতার নজরুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুব্রত পালের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।