নিজস্ব প্রতিবেদক: সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের বড় মাস্টার খলিলুর রহমান। শনিবার বেলা ১২ টার দিকে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে স্ত্রীর সামনে হামলার শিকার হন তিনি।
রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে স্টেশন মাস্টার খলিলুর রহমান সস্ত্রীক আন্তনগর এগারসিন্দুর প্রভাতি ট্রেনে ভৈরব থেকে কিশোরগঞ্জ রওনা হন। ট্রেনের খ বগির ডাবল কেবিনে আগে থেকেই তুষি (২২) নামে এক নারী যাত্রী বসাছিলেন। তিনি কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশন সংলগ্ন পূর্ব তারাপাশা এলাকার বাসিন্দা মৃত নিলু মিয়ার মেয়ে। স্টেশন মাস্টার সস্ত্রীক একই বগির কেবিনে গেলে ঐ নারী যাত্রী তাদেরকে বাধা দেন এবং স্টেশন মাস্টার হিসেবে পরিচয় দেওয়ার পরও তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে মাস্টারের অভিযোগ। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। ট্রেনটি কুলিয়ারচর স্টেশনে পৌঁছলে স্টেশন মাস্টার দুটি টিকিট কেটে আবারও কেবিনে ঢুকেন। তখনও ঐ নারী যাত্রী তুষি তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। একপর্যায়ে তুষি মোবাইল ফোনে তার ভাইকে বিষয়টি জানান।
ট্রেনটি কিশোরগঞ্জ রেলস্টেশনে পৌঁছলে তুষির ভাই অন্তুসহ ৫ জন মিলে স্টেশন মাস্টারের ওপর চড়াও হন। তারা পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন মাস্টারকে। রেলওয়ে পুলিশ আসার আগেই তারা সটকে পড়েন। পুলিশ ও স্থানীয়রা স্টেশন মাস্টারকে উদ্ধার করে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
ঘটনার পর ঘন্টাখানেক রেলস্টেশনের কার্যক্রম বন্ধ থাকে। ফলে ঢাকাগামী এগারসিন্দুর গোধূলী ট্রেনটি কিশোরগঞ্জ থেকে একঘন্টা দেরিতে ছেড়ে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লিটন মিয়া জানান, হামলাকারী পাঁচজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা হলেন কিশোরগঞ্জ শহরের তারাপাশা এলাকার অন্তু, ইমরান, মোজাম্মেল, হিমেল ও আরিফ। তাদেরকে ধরতে চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।