নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের পল্লীতে সন্ত্রাসী হামলায় তিন মাস ধরে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে একটি পরিবার। থানায় মামলা হলেও গ্রেফতার হয়নি কেউ।
এর প্রতিবাদে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বুধবার দুপুরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। কালীবাড়ির সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা তিন মাসেও আসামিদেরকে গ্রেফতার করতে না পারা এবং ভুক্তভোগী পরিবারটির নিরাপত্তা বিধান করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মানববন্ধনে মামলার বাদী সদর উপজেলার রশিদাবাদ ইউনিয়নের ব্রাহ্মণকচুরী গ্রামের গীতা রাণী বর্মণসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে ঐতিহাসিক পট পরিবর্তনের পর ঐদিন বিকালে রশিদাবাদ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিস মিয়ার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী গীতা রাণীর বাড়িতে দুদফা হামলা চালায়। প্রথমে তারা বাড়িঘর ভাঙচুর করে এবং নগদ ১৫ লক্ষ টাকা ও ২০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। সন্ধ্যায় দ্বিতীয় দফায় ট্রাক ও টমটম গাড়ি নিয়ে এসে বাড়ির স্টিলের গেটসহ প্রায় সমস্ত মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। প্রাণভয়ে বাড়ির সকলেই পালিয়ে গিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেন। সন্ত্রাসীরা ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে গীতা রাণীর ছেলেকে একটি মামলার আসামি করে। ছেলেকে মামলার আসামি করতে পারায় সন্ত্রাসীরা গীতা রাণীর শূন্য ভিটায় আনন্দে পিকনিকও করে।
এদিকে গীতা রাণী গত ২৩ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ সদর থানায় সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিসকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়ের করায় সন্ত্রাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বাড়ির দরজা-জানালাও খুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ অবস্থায় অন্যত্র আশ্রয়ে থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান গীতা রাণী। তিনি নিরাপদে বাড়িতে ফিরে আসা এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। খুব শিগগির তাদেরকে গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।