নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জ-ঢাকা রুটে বাস ভাড়া কমানোর দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহরের ইসলামিয়া সুপার মার্কেট চত্বরের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে কিশোরগঞ্জে জেলা যুব অধিকার পরিষদ। মানববন্ধন থেকে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়ক দ্রুত সংস্কারের দাবিও জানানো হয়।
মানববন্ধনে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই নাজুক, ভালো মানের কোনো পরিবহন নেই। যেসব পরিবহন রয়েছে, সেগুলোতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়।
তিনি বলেন, কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ভাড়া হওয়ার কথা ২৬০–২৭০ টাকা। কিন্তু ভাড়া নিচ্ছে ৩৫০–৪০০ টাকা। এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত রয়েছে পরিবহন মালিক সমিতি। এর আগে সেখান থেকে ভাগ নিত আওয়ামী লীগের নেতারা। আমরা শুনেছি এখন সেখান থেকে অন্য একটা দলের নেতারা চাঁদা নিচ্ছে। তিনি চাঁদাবাজি বন্ধ করে এই রুটের ভাড়া দ্রুত সময়ের মধ্যে কমানোর দাবি জানান।
কিশোরগঞ্জ–ভৈরব রাস্তা সম্পর্কে বলেন, রাস্তাটি যেন একটা মরণফাঁদ। এখানে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনায় মানুষ আহত হচ্ছে, মারা যাচ্ছে। বিগত সরকারের সময় যে বাজেট হতো তার ৭০ শতাংশ ঠিকাদার ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভাগ বাটোয়ার করে নিয়ে যেত। ফলে রাস্তার উন্নয়নে যে পরিমাণ বাজেট বরাদ্দ করা হতো, তার সিংহভাগই লুটপাট হতো।। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানান।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে কিশোরগঞ্জের ইতিবাচক অবদান রয়েছে। আমরা সবসময় দেশ ও মানুষের পক্ষে। কিন্তু কিশোরগঞ্জের একজন, যিনি ফ্যাসিবাদের দোসর, আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী, যিনি আওয়ামী লীগের আমলে হাজার হাজার কোটি টাকা কামিয়েছেন, তিনি হলেন মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি অবৈধভাবে টাকা কামিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন। দুদকের কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে তার সম্পদের হিসাব নিন। ফ্যাসিবাদের দোসর মুজিবুল হক চুন্নুকে কিশোরগঞ্জের মানুষ অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার মতো লোককে কিশোরগঞ্জে রাজনীতি করতে দেওয়া হবেনা। তিনি বলেন, শুধু আওয়ামী লীগের নয়, তাদের দোসরদেরও বিচার হবে। জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের দোসর, তাদেরও বিচার হবে। বিচার না হওয়া পর্যন্ত দেশের মানুষ তাদের রাজনীতি করতে দিবে না।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন তালুকদার, জেলা যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি সোহাগ মিয়া, জেলা গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম, অভি চৌধুরী, পাকুন্দিয়া উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, বাজিতপুর উপজেলার আহ্বায়ক এডভোকেট ফজল মোল্লা, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার আহ্বায়ক মোমেনউদ্দীন জনি, ছাত্র নেতা ইমন খান, পায়েল চৌধুরী প্রমুখ।
মানববন্ধনে সঞ্চালনা করেন কিশোরগঞ্জ জেলা যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমেদ রমজান।