অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে করোনায় নতুন করে (বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত) ৬ জনের মৃত্যু এবং ৮৭ জনের শনাক্ত হয়েছে। করোনায় এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ১৯১ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ হাজার ৮৬৫ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৫৯ জন, হোসেনপুরে ৬ জন, করিমগঞ্জে ২ জন, পাকুন্দিয়ায় ২ জন, কটিয়াদীতে ৬ জন, কুলিয়ারচরে ৫ জন, ভৈরবে ১ জন, নিকলীতে ১ জন ও বাজিতপুরে ৫ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান ৯, ১০ ও ১১ আগস্ট (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ১১ আগস্ট বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০ জন, কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ৭৬ জন, কিশোরগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে ৮ জন, হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪৫ জন, করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭ জন, কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২ জন, ও ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২১ জনসহ মোট ১৮৯ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে ২৪ জনের করোনার উপসর্গ পাওয়া গেছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৩ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৩ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ৭ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ৬ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ৫৫ বছর বয়সী একজন নারী, পাকুন্দিয়া উপজেলার ৭৫ বছর বয়সী একজন নারী ও ৬০ বছর বয়সী একজন পুরুষ, করিমগঞ্জ উপজেলার ৫০ বছর বয়সী একজন নারী, কটিয়াদী উপজেলার ৬০ বছর বয়সী একজন পুরুষ ও কুলিয়ারচর উপজেলার ৬০ বছর বয়সী একজন পুরুষ গত বুধবার শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ১৯১ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮৬ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৭ হাজার ৪৪৪ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ২৩০ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৯৯৯ জন, হোসেনপুরে ২৬২ জন, করিমগঞ্জে ৪৬ জন, তাড়াইলে ৩২ জন, পাকুন্দিয়ায় ২৭০ জন, কটিয়াদীতে ৫৪৭ জন, কুলিয়ারচরে ৬৬ জন, ভৈরবে ৬৯০ জন, নিকলীতে ৪৫ জন, বাজিতপুরে ১৫৫ জন, ইটনায় ৩২ জন, মিঠামইনে ৩০ জন ও অষ্টগ্রামে ৫৬ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ৩ হাজার ১৭৪ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ৫৬ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ২৩ হাজার ৩৪ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৪ লক্ষ ১ হাজার ৭২৮ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সাইনোফার্মের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৬৯৪ জনকে এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৫১৫ জনকে। একই সময়ে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ৩৯০ জনকে। গত ১৯ জুন থেকে সাইনোফার্ম ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩৭১ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭ হাজার ৩৫৯ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬৪ হাজার ৫৮৯ জন।