অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে নতুন করে (শুক্রবার রাত ১০টা পর্যন্ত) ৬২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ হাজার ৯২৭ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ২৬ জন, পাকুন্দিয়ায় ২ জন, কটিয়াদীতে ৮ জন, কুলিয়ারচরে ২ জন, ভৈরবে ২০ জন, বাজিতপুরে ২ জন ও অষ্টগ্রামে ২ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান ১০, ১১, ১২ ও ১৩ আগস্ট (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ১২ আগস্ট বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১২৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০ জন, কিশোরগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে ৬ জন, করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬ জন, ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০৪ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জনসহ মোট ১৪৬ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে ২০ জনের করোনার উপসর্গ পাওয়া গেছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৪ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২০ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১০ জন। গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ১৯১ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২১ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৭ হাজার ৪৬৫ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ২৭১ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ১ হাজার ২৫ জন, হোসেনপুরে ২৬২ জন, করিমগঞ্জে ৪৬ জন, তাড়াইলে ৩২ জন, পাকুন্দিয়ায় ২৬৯ জন, কটিয়াদীতে ৫৪১ জন, কুলিয়ারচরে ৬৬ জন, ভৈরবে ৭১০ জন, নিকলীতে ৪৫ জন, বাজিতপুরে ১৫৭ জন, ইটনায় ৩০ জন, মিঠামইনে ৩০ জন ও অষ্টগ্রামে ৫৮ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ৩ হাজার ২১৫ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ৫৬ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৩ হাজার ৭৪৩ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৪ লক্ষ ৫ হাজার ৪৭১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় কাউকে টিকা দেওয়া হয়নি বলে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জানা গেছে। গত ১৯ জুন থেকে এ পর্যন্ত সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩৭১ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭ হাজার ৩৫৯ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬৪ হাজার ৫৮৯ জন।