তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে বিএনপির দুই গ্রæপে সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও ৮ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার বেলা ১২ টার দিকে তাড়াইল উপজেলার রাউতি ইউনিয়নের বানাইল গ্রামে।
নিহত আবুল হাসান রতন (৫৫) বানাইল গ্রামের মৃত নূরুল হকের ছেলে। তিনি রাউতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তাড়াইল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাঈদুজ্জামান মোস্তফা ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার হোসেন লিটনের পরস্পর বিরোধী দুটি গ্রæপ দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় রয়েছে। আগামী ১৫ জানুয়ারি তাড়াইল উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে দুজনই সভাপতি প্রার্থী। সম্মেলনকে সামনে রেখে শনিবার রাতে রাউতি ইউনিয়ন বিএনপির পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাউতি ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য গিয়াস উদ্দিন। তিনি উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার হোসেন লিটনের সমর্থক। অপরদিকে রাউতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবুল হাসান রতন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাঈদুজ্জামান মোস্তফার সমর্থক। আবুল হাসান রতন ও গিয়াস উদ্দিন আত্মীয়তার সূত্রে চাচা–ভাতিজা। পথসভায় গিয়াস উদ্দিন সভাপতিত্ব করায় ক্ষিপ্ত হন আবুল হাসান রতন ও তার লোকজন। রবিবার সকালে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি থেকে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের বল্লমের আঘাতে আবুল হাসান রতন নিহত হন। সংঘর্ষে উভয়পক্ষে আহত হয়েছেন ৮ জন।
তবে স্থানীয় বিএনপির দাবি দলীয় বিষয় নয়, পারিবারিক বিষয় নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে। হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে নিহত রতনের সমর্থকরা রবিবার দুপুরে তাড়াইল উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বির রহমান জানান, উপজেলা বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে রাউতি ইউনিয়ন বিএনপির দুই গ্রæপের সংঘর্ষে আবুল হাসান রতন নিহত হয়েছেন।
এদিকে আবুল হাসান রতন নিহত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ জানুয়ারি আহুত তাড়াইল উপজেলা বিএনপির সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষে রাউতি ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি নিহত হওয়ায় তাড়াইল উপজেলা বিএনপির সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তে দলের কেউ দোষী সাব্যস্থ হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।