অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে করোনায় নতুন করে (শনিবার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত) ২ জনের মৃত্যু এবং ৪১ জনের শনাক্ত হয়েছে । এ নিয়ে জেলায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৯৩ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ হাজার ৯৬৮ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ২২ জন, পাকুন্দিয়ায় ৩ জন, কটিয়াদীতে ১০ জন, কুলিয়ারচরে ১ জন, বাজিতপুরে ৪ জন ও ইটনায় ১ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান শনিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান ৯, ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ আগস্ট (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ২৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ১৩ আগস্ট বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১১১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন, কিশোরগঞ্জ মেডিল্যাব হেলথ সেন্টারে ৫ জনসহ মোট ১৫ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে ৬ জনের করোনার উপসর্গ পাওয়া গেছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৬ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৩ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ৯ জন। গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ২ জন। করোনা শনাক্তকৃত কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ৬৬ ও ৬৫ বছর বয়সী দুজন নারী গত শুক্রবার কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ১৯৩ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬০ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৭ হাজার ৫২৫ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ২৫০ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৯৮৫ জন, হোসেনপুরে ২৬২ জন, করিমগঞ্জে ৪৬ জন, তাড়াইলে ৩২ জন, পাকুন্দিয়ায় ২৭২ জন, কটিয়াদীতে ৫৫১ জন, কুলিয়ারচরে ৬৭ জন, ভৈরবে ৭১০ জন, নিকলীতে ৪৫ জন, বাজিতপুরে ১৬১ জন, ইটনায় ৩১ জন, মিঠামইনে ৩০ জন ও অষ্টগ্রামে ৫৮ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ৩ হাজার ১৮৩ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ৬৭ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৮ হাজার ৯৬৫ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৪ লক্ষ ১৪ হাজার ৪৩৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৯৩৮ জনকে। আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৩৩০ জনকে। একই সময়ে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ২৬২ জনকে। গত ১৯ জুন থেকে এ পর্যন্ত সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ৩০৯ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৮ হাজার ৬৮৯ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬৪ হাজার ৮৫১ জন।