অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে নতুন করে (সোমবার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত) ৩৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে । এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৭৪ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৭ জন, পাকুন্দিয়ায় ১ জন, কটিয়াদীতে ১৩ জন, কুলিয়ারচরে ৩ জন, বাজিতপুরে ১ জন, মিঠামইনে ১ জন ও অষ্টগ্রামে ১ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান ১৪ ও ১৫ আগস্ট (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ১৫ আগস্ট বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৯০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১২ জন, কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ১১১ জন, তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬৪ জন, মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন, অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯ জন ও কিশোরগঞ্জ মেডিল্যাব হেলথ সেন্টারে ১৪ জনসহ মোট ২২৬ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে ১২ জনের করোনার উপসর্গ পাওয়া গেছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৩ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৪ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১০ জন। গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ১৯৫ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮২ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৭ হাজার ৬৪০ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ২৩৯ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৯৯৪ জন, হোসেনপুরে ২৬৭ জন, করিমগঞ্জে ৪৬ জন, তাড়াইলে ৩৫ জন, পাকুন্দিয়ায় ২৪৯ জন, কটিয়াদীতে ৫৬৫ জন, কুলিয়ারচরে ৫২ জন, ভৈরবে ৭২৭ জন, নিকলীতে ৩৫ জন, বাজিতপুরে ১৬৬ জন, ইটনায় ৩১ জন, মিঠামইনে ১৩ জন ও অষ্টগ্রামে ৫৯ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ৩ হাজার ১৭২ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ৬৭ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৯ হাজার ৫৭ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৪ লক্ষ ৩৩ হাজার ৬৯২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৭৩০ জনকে। আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৫৭৬ জনকে। একই সময়ে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৩৪৯ জনকে। গত ১৯ জুন থেকে এ পর্যন্ত সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ১ লক্ষ ৬৭ হাজার ৩৯ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ১১ হাজার ২৬৫ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬৫ হাজার ২০০ জন।