নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের নিজস্ব ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পাগলা মসজিদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, নামাজের সময়সহ জানা যাবে বিভিন্ন তথ্য। এছাড়া দেশ–বিদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ঘরে বসে মানুষ এ মসজিদে পাঠাতে পারবেন তার দানের টাকা।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাগলা মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্সের সভাপতি কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান আনুষ্ঠানিকভাবে পাগলা মসজিদের ওয়েবসাইট (www.paglamosque.org) উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনের পর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পেমেন্ট গেটওয়ে বিকাশ ব্যবহার করে পাগলা মসজিদে ৫ হাজার ৪শত টাকা দান করেন জেলা প্রশাসক।
অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মুকিত সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, মসজিদ কমিটির সদস্য সচিব ও কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. এরশাদ মিয়া, ইসলামী আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি প্রভাষক হাফেজ মাওলানা আলমগীর হোসাইন তালুকদার, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে সূরা সদস্য ও জেলা আমীর অধ্যাপক মো. রমজান আলী, আল–জামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা শাব্বির আহমাদ রশিদ, কিশোরগঞ্জ চেম্বারের পরিচালক দিলোয়ার হোসেন দিলু, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ইকরাম হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন পাগলা মসজিদের খতিব মাওলানা আশরাফ আলী।
কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিমপার্শ্বে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে দান করেন। মানুষের দানে উপচে পড়ে মসজিদের দানসিন্দুকগুলো। প্রতিবার দানসিন্দুকগুলো খুললেই পাওয়া যায় কয়েক কোটি টাকা। মসজিদটিতে দিন দিনই বাড়ছে দানের পরিমাণ। নগদ টাকা ছাড়াও স্বর্ণালংকার, গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন জিনিসও দান করে থাকেন অনেকে। নগদ টাকা ছাড়া বাকিগুলো প্রতিদিন আসরের নামাজের পর খোলা ডাকে বিক্রি করা হয়।