অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে করোনায় নতুন করে (মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত) ২ জনের মৃত্যু ও শনাক্ত হয়েছে ৮২ জনের । এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ১৯৭ জন এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ১৫৬ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩১ জন, হোসেনপুরে ৩ জন, পাকুন্দিয়ায় ২ জন, কটিয়াদীতে ২ জন, কুলিয়ারচরে ২ জন, ভৈরবে ৩৪ জন, নিকলীতে ১ জন, বাজিতপুরে ৪ জন, ইটনায় ২ জন ও অষ্টগ্রামে ১ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান ১৪, ১৫ ও ১৬ আগস্ট (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ১৬ আগস্ট বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৭২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৯ জন, কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ৩৭ জন, কিশোরগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে ৬ জন, তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৬ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৩ জন, ভৈরবে ১৬৮ জন, নিকলীতে ৮ জন, বাজিতপুরে ৩২ জন, ইটনায় ১৭ জন ও কিশোরগঞ্জ মেডিল্যাব হেলথ সেন্টারে ১৫ জনসহ মোট ৩৩১ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে ৫৩ জনের করোনার উপসর্গ পাওয়া গেছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ২২ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৫ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১০ জন। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ২ জন। বাজিতপুর উপজেলার ৭৫ বছর বয়সী একজন পুরুষ ও কুলিয়ারচর উপজেলার ৮৫ বছর বয়সী একজন পুরুষ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার মৃত্যুবরণ করেন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ১৯৭ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৮৩ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৭ হাজার ৮২৩ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ১৩৬ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৯৬৮ জন, হোসেনপুরে ২৭০ জন, করিমগঞ্জে ৪৬ জন, তাড়াইলে ৩৫ জন, পাকুন্দিয়ায় ২৫১ জন, কটিয়াদীতে ৫৬৭ জন, কুলিয়ারচরে ৪৩ জন, ভৈরবে ৬৪৫ জন, নিকলীতে ৩৬ জন, বাজিতপুরে ১৬৯ জন, ইটনায় ৩৩ জন, মিঠামইনে ১৩ জন ও অষ্টগ্রামে ৬০ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ৩ হাজার ৮১ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ৫৫ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ২ হাজার ৪১৬ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৪ লক্ষ ৩৬ হাজার ১০৮ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ২৩০ জনকে। আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৪৮৪ জনকে। একই সময়ে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ২৭৭ জনকে। গত ১৯ জুন থেকে এ পর্যন্ত সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ১ লক্ষ ৭০ হাজার ২৬৯ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ১৩ হাজার ৭৪৯ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬৫ হাজার ৪৭৭ জন।