অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে নতুন করে (রবিবার রাত ৯টা পর্যন্ত) ২১ জনের করোনা শনাক্ত এবং ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৩৬২ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ২০৫ জনের। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ১০ জন, হোসেনপুরে ১ জন, পাকুন্দিয়ায় ২ জন, কটিয়াদীতে ১ জন, ভৈরবে ৪ জন ও অষ্টগ্রামে ৩ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান রবিবার রাত ১০ টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান ২১ ও ২২ আগস্ট (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ২১ আগস্ট বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১০৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন, হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৭ জন, করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন, ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন, ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫ জন, অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪ জন ও কিশোরগঞ্জ মেডিল্যাব হেলথ সেন্টারে ৬ জনসহমোট ৫৭ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে ৬ জনের করোনার উপসর্গ পাওয়া গেছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ১২ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৫ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ৩ জন। গত ২৪ ঘন্টায় এ হাসপাতালে ১ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ৬৫ বছর বয়সী ১ জন পুরুষ শনিবার শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ২০৫ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৬৪ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৮ হাজার ৫০৯ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৬৪৮ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৮৫০ জন, হোসেনপুরে ২৭৫ জন, করিমগঞ্জে ১৩ জন, তাড়াইলে ১১ জন, পাকুন্দিয়ায় ২৫১ জন, কটিয়াদীতে ৫৯৩ জন, কুলিয়ারচরে ২৬ জন, ভৈরবে ৩৩১ জন, নিকলীতে ৩৮ জন, বাজিতপুরে ১৫১ জন, ইটনায় ৩৩ জন, মিঠামইনে ১০ জন ও অষ্টগ্রামে ৬৬ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ২ হাজার ৬১২ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ৩৬ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৭ হাজার ৩২৩ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৪ লক্ষ ৬৩ হাজার ৭৪৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ৭৬১ জনকে। আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ২৩০ জনকে। একই সময়ে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ২৬০ জনকে। গত ১৯ জুন থেকে এ পর্যন্ত সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ১ লক্ষ ৮২ হাজার ৫১২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ২০ হাজার ৭৫৬ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬৬ হাজার ৪০৭ জন।