অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে নতুন করে (শনিবার রাত ৯টা পর্যন্ত) ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে এ সময়ে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৫৬৮ জনে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪ জন, পাকুন্দিয়ায় ১ জন, কটিয়াদীতে ৩ জন, কুলিয়ারচরে ২ জন ও ভৈরবে ২৫ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান শনিবার রাত ১১ টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান ২৬ ও ২৭ আগস্ট (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ২৭ আগস্ট বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১১৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন ও কিশোরগঞ্জ মেডিল্যাব হেলথ সেন্টারে ৩ জনসহ মোট ১৮ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে ১ জনের করোনার উপসর্গ পাওয়া গেছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ১৪ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ৫ জন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ২০৭ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১২৩ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৯ হাজার ২৩৫ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ১২৬ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৬৭০ জন, হোসেনপুরে ৪৯ জন, করিমগঞ্জে ১৩ জন, তাড়াইলে ৫ জন, পাকুন্দিয়ায় ২৫৮ জন, কটিয়াদীতে ৪৯৩ জন, কুলিয়ারচরে ১৮ জন, ভৈরবে ৩৬১ জন, নিকলীতে ৩৮ জন, বাজিতপুরে ১৩৭ জন, ইটনায় ১২ জন, মিঠামইনে ৪ জন ও অষ্টগ্রামে ৬৮ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ২ হাজার ৯০ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ৩৬ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৮ হাজার ৩৭৫ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৫ লক্ষ ১২ হাজার ৮৬২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ১৭২ জনকে এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে একই সংখ্যক ব্যক্তিকে। গত ১৯ জুন থেকে এ পর্যন্ত সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ২ লক্ষ ৪ হাজার ৫৩৯ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৩৩ হাজার ৯৪ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬৮ হাজার ৮৩২ জন।