অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে নতুন করে (সোমবার রাত ৯টা পর্যন্ত) ৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে এ সময়ে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৫৯৭ জনে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪ জন, করিমগঞ্জে ১ জন, পাকুন্দিয়ায় ১ জন ও ভৈরবে ১ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান সোমবার রাত ১১ টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান ২৯ আগস্ট (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ২৯ আগস্ট বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় কারও করোনা শনাক্ত হয়নি। এছাড়া কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ জন,, কিশোরগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে ৩ জন, হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮ জন, করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন, তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৩ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ জন ও কিশোরগঞ্জ মেডিল্যাব হেলথ সেন্টারে মোট ৬ জনসহ মোট ৫১ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে ৩ জনের করোনার উপসর্গ পাওয়া গেছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ১০ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২১ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ৩ জন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ২০৯ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫৯ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৯ হাজার ৪১৪ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৯৭৪ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৬১৩ জন, হোসেনপুরে ৫ জন, করিমগঞ্জে ৩ জন, তাড়াইলে ৬ জন, পাকুন্দিয়ায় ২৬০ জন, কটিয়াদীতে ৪৩৯ জন, কুলিয়ারচরে ২০ জন, ভৈরবে ৩৬৭ জন, নিকলীতে ৩৮ জন, বাজিতপুরে ১৩৯ জন, ইটনায় ১২ জন, মিঠামইনে ৪ জন ও অষ্টগ্রামে ৬৮ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে কোন রোগী নেই। তবে হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ৩৫ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১ হাজার জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৫ লক্ষ ১৫ হাজার ৬৫০ জন। গত ২৪ ঘন্টায় কাউকে টিকা দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। গত ১৯ জুন থেকে এ পর্যন্ত সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ২ লক্ষ ৬ হাজার ২৭০ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৩৫ হাজার ১১৩ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬৯ হাজার ১৩৬ জন।