অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে নতুন করে (শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত) ১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে এ সময়ে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৬৮৫ জনে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪ জন, হোসেনপুরে ১ জন, কটিয়াদীতে ৩ জন ও ভৈরবে ৫ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান ১ ও ২ সেপ্টেম্বর (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ২ সেপ্টেম্বর বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১২৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০ জন, কিশোরগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে ২ জন, হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১২ জন, করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২০ জন ও কিশোরগঞ্জ মেডিল্যাব হেলথ সেন্টারে মোট ৮ জনসহ মোট ৬০ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে ৪ জনের করোনার উপসর্গ পাওয়া গেছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ২ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৭ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ৪ জন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ২১২ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৭৪ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৯ হাজার ৯৭৪ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৪৯৯ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪৫৪ জন, হোসেনপুরে ৩৭ জন, করিমগঞ্জে ৯ জন, তাড়াইলে ৬ জন, পাকুন্দিয়ায় ১৭৮ জন, কটিয়াদীতে ২৭৮ জন, কুলিয়ারচরে ১৫ জন, ভৈরবে ৩১৬ জন, নিকলীতে ৩৪ জন, বাজিতপুরে ৯০ জন, ইটনায় ৮ জন, মিঠামইনে ৩ জন ও অষ্টগ্রামে ৭১ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ৪৬৯ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ৩০ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৫২০ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৫ লক্ষ ১৯ হাজার ৮৩২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় কাউকে টিকা দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ৭৬ হাজার ৬৭০ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৬৯ হাজার ৫৭৭ জন। গত ১৯ জুন থেকে এ পর্যন্ত সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ২ লক্ষ ৯ হাজার ২৯৬ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩৮ হাজার ৩৬৭ জন।