অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে নতুন করে (বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর্যন্ত) ৬ জনের করোনা শনাক্ত এবং ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৭৫৮ জনে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩ জন, তাড়াইলে ১ জন ও ভৈরবে ২ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ৮ সেপ্টেম্বর বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় কারও করোনা শনাক্ত হয়নি। এছাড়া কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫ জন, কিশোরগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে ২ জন, হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬ জন, করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬ জন, তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৮ জন, কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮ জন, ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৭ জন, অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ জন ও কিশোরগঞ্জ মেডিল্যাব হেলথ সেন্টারে ৬ জনসহ মোট ৮৩ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে ১ জনের করোনা উপসর্গ পাওয়া গেছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৫ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১০ জন। করোনা আক্রান্ত ভৈরবের ৮৫ বছর বয়সী একজন পুরুষ গত বুধবার শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ২১৫ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১১৮ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ১০ হাজার ৪৫৯ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৮৪ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ২৬৯ জন, হোসেনপুরে ৩১ জন, করিমগঞ্জে ৯ জন, তাড়াইলে ৮ জন, পাকুন্দিয়ায় ১০২ জন, কটিয়াদীতে ২৪৫ জন, কুলিয়ারচরে ২০ জন, ভৈরবে ২৬৮ জন, নিকলীতে ৩২ জন, বাজিতপুরে ৬৬ জন, ইটনায় ৬ জন, মিঠামইনে ৩ জন ও অষ্টগ্রামে ২৫ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ৭১ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ১৩ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১০২ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৫ লক্ষ ২৯ হাজার ২৯৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ৫৯৭ জনকে। আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১৬০ জনকে। একই সময়ে সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৬০৯ জনকে এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১০ হাজার ৮৮২ জনকে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ৭৮ হাজার ২৪৩ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭০ হাজার ১৫ জন। গত ১৯ জুন থেকে এ পর্যন্ত সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ২ লক্ষ ২১ হাজার ৫৫৩ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ২৮ হাজার ৪৩৫ জন।