নিউজ একুশে ডেস্ক: কিশোরগঞ্জে গত ২৪ ঘন্টায় (শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত) কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। এ সময় কারও মৃত্যুর খবরও পাওয়া যায়নি। দীর্ঘদিন পর জেলায় করোনা শনাক্ত ও মৃত্যু শূন্যতে নেমে এল। এর আগের হিসাব অনুযায়ী জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ৯০২ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, বৈদ্যুতিক লোডশেডিংয়ের কারণে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাবে শুক্রবার করোনার নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হয়নি।
এদিকে ২৩ সেপ্টেম্বর বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১৬১ জনের নমুনা পরীক্ষায় কারও করোনা শনাক্ত হয়নি। এছাড়া কিশোরগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে ১ জন, হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন ও অষ্টগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯ জনসহ মোট ১৬ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে কারও করোনা উপসর্গ পাওয়া যায়নি।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৪ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ৫ জন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ২১৫ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১০ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ১১ হাজার ৫৩০ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫৭ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৮৬ জন, হোসেনপুরে ১ জন, তাড়াইলে ৪ জন, পাকুন্দিয়ায় ২ জন, কটিয়াদীতে ৯ জন, কুলিয়ারচরে ৩ জন, ভৈরবে ৪৫ জন, নিকলীতে ৪ জন, বাজিতপুরে ২ জন ও মিঠামইনে ১ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ১৪৪ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ১৩ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ২ হাজার ৮২২ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৫ লক্ষ ৭৫ হাজার ৪১৫ জন। গত ২৪ ঘন্টায় কাউকে টিকা দেওয়া হয়নি বলে সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ৮২ হাজার ৩১ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭০ হাজার ৩৩৪ জন। গত ১৯ জুন থেকে এ পর্যন্ত সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ২ লক্ষ ৭২ হাজার ৫২৮ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৭১ হাজার ৫০১ জন।