নিউজ একুশে ডেস্ক: কিশোরগঞ্জে এবার (শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত) ২৫২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তবে এ সময় কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৯৪৩ জনে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩ জন ও ভৈরবে ১ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান ৬ ও ৭ অক্টোবর (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ৭ অক্টোবর বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১৫০ জনের নমুনা পরীক্ষায় কারও করোনা শনাক্ত হয়নি। এছাড়া শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ জন, কিশোরগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে ২ জন, হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন, কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭ জন ও কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৬ জনসহ মোট ৪৮ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে কারও করোনা উপসর্গ পাওয়া যায়নি।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ২ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১ জন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ২১৫ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ১১ হাজার ৬৫৩ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭৫ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৫৫ জন, হোসেনপুরে ১ জন, তাড়াইলে ২ জন, পাকু্ন্দিয়ায় ১ জন, কটিয়াদীতে ২ জন, কুলিয়ারচরে ২ জন ও ভৈরবে ১২ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ৭৩ জন। হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ২ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৫ হাজার ৬৬০ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৭ লক্ষ ২৪ হাজার ৪৪৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় কোন টিকা দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ৮২ হাজার ৯৬ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭০ হাজার ৪৫৯ জন। গত ১৯ জুন থেকে এ পর্যন্ত সাইনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৫ লক্ষ ৬ হাজার ৪৯৮ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৯৪ হাজার ৩৫ জন।