নিউজ একুশে ডেস্ক: কিশোরগঞ্জে গত ২৪ ঘন্টায় (রবিবার রাত ৮টা পর্যন্ত) ২১৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময় কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১১ হাজার ৯৪৫ জন। নতুন আক্রান্ত দুজনই কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান রবিবার রাত ১০টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ৭, ৯ ও ১০ অক্টোবর (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ৬১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ৯ অক্টোবর বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় কারও করোনা শনাক্ত হয়নি। এছাড়া কিশোরগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে ২ জন ও হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জনসহ মোট ৪ জনের রেপিড এন্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট টেস্টে কারও করোনা উপসর্গ পাওয়া যায়নি।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৫ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ২ জন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ২১৫ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ১১ হাজার ৬৫৯ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭১ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৫৬ জন, হোসেনপুরে ১ জন, তাড়াইলে ২ জন, পাকু্ন্দিয়ায় ১ জন, কটিয়াদীতে ২ জন, কুলিয়ারচরে ১ জন ও ভৈরবে ৮ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ৬৯ জন। হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ২ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৫ হাজার ৫৫৮ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৭ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের টিকা দেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। তবে সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ৩৪০ জনকে এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ৪৫৮ জনকে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ৮২ হাজার ৯৬ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭০ হাজার ৪৫৯ জন। গত ১৯ জুন থেকে এ পর্যন্ত সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৫ লক্ষ ১৯ হাজার ২৯১ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৯৯ হাজার ৬১৩ জন।