অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে গত ২৪ ঘন্টায় (রবিবার রাত ১০ টা পর্যন্ত) ১০৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে । এ নিয়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬ হাজার ৩৬৮ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৯২ জন, হোসেনপুরে ২ জন, করিমগঞ্জে ৬ জন, কটিয়াদীতে ৩ জন, ভৈরবে ৩ জন ও নিকলীতে ১ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান রবিবার রাত পৌনে ১১ টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত ২, ৩ ও ৪ জুলাই (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৩ জুলাই বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৮৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ ও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৪ জনসহ মোট ২৯ জনের রেপিড এন্টিজেন টেস্টে ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ১৪ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১১ জন, সন্দেহজনক করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন ১ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ৯ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪০ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৫ হাজার ২৫৩ জন সুস্থ হয়েছেন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ৯১ জন।
বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ২৪ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৭১২ জন, হোসেনপুরে ১৩ জন, করিমগঞ্জে ৩৫ জন, তাড়াইলে ২৩ জন, পাকুন্দিয়ায় ৩১ জন, কটিয়াদীতে ৬০ জন, কুলিয়ারচরে ২৯ জন, ভৈরবে ৮৫ জন, নিকলীতে ৫ জন, বাজিতপুরে ২০ জন, ইটনায় ৯ জন ও মিঠামইনে ২ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ৯৪৯ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ৭৫ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় ভ্যাকসিনের জন্য কেউ রেজিস্ট্রেশন করেননি বলে সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৪৮১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সাইনোফার্ম ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ২৮ জন। গত ১৯ জুন থেকে সাইনোফার্ম ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ১ হাজার ২৪০ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫৯ হাজার ৩০৭ জন।