নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের প্রথিতযশা আইনজীবী, কৃতী রাজনীতিক, সমাজসেবক ও ক্রীড়া সংগঠক এডভোকেট জিন্নাতুল ইসলামের ১৩তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ। ২০০৯ সালের এই দিনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।
এডভোকেট জিন্নাতুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
ক্রীড়া অন্তঃপ্রাণ এডভোকেট জিন্নাতুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও খেলাধুলার প্রসারে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন।
এডভোকেট জিন্নাতুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ জেলার তাড়াইল উপজেলাধীন জাওয়ার গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৪৬ সালের ১২ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুল বারী, মাতা তাহেরা বেগম।
১৯৬৩ সালে তাড়াইল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৬৫ সালে কিশোরগঞ্জ গুরুদয়াল সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর তিনি কৃষি বিভাগের চাকরিতে যোগদান করেন। চাকরিতে থাকাকালীন ঢাকার তেজগাঁও কলেজ থেকে ১৯৭২ সালে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন এবং ১৯৭৮ সালে ঢাকা সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রী লাভ করেন।
এডভোকেট জিন্নাতুল ইসলাম বাংলাদেশ বার কাউন্সিল হতে সনদ প্রাপ্তির পর ১৯৭৯ সালে কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হিসেবে আইন পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করেন।
তিনি ১৯৮৮ এবং ১৯৮৯ সালে কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এর মাধ্যমে আইনজীবী সমিতির সদস্যদের আস্থা অর্জন করায় তিনি ১৯৯৯ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ হাইকোর্ট বার এসোসিয়েশনেরও সদস্য ছিলেন।
এডভোকেট জিন্নাতুল ইসলাম একাধারে ১৬ বছর কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি কিশোরগঞ্জ জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি, কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাব, ডায়াবেটিক সমিতি, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির আজীবন সদস্য ছিলেন। তিনি পাগলা মসজিদ কমিটির সম্পাদক, মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানা কমিটিরও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি অন্ধ কল্যাণ সমিতি কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। কিশোরগঞ্জ রোটারী ক্লাবের সভাপতি ছিলেন।
তিনি আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সহ–সভাপতি এবং ওয়ালী নেওয়াজ খান কলেজের কার্যকরী পরিষদের সদস্য ছিলেন।
তার আত্মার মাগফিরাতের জন্য পরিবারের সদস্যরা সকলের দোয়া চেয়েছেন।