অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে গত ২৪ ঘন্টায় (বৃহস্পতিবার রাত ৯ টা পর্যন্ত) ৫৫ জনের করোনা শনাক্ত এবং মৃত্যু হয়েছে ২ জনের । এ নিয়ে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৬ হাজার ৭৬৭ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪০ জন, করিমগঞ্জে ২ জন, তাড়াইলে ৩ জন, পাকুন্দিয়ায় ৫ জন, কটিয়াদীতে ২ জন, কুলিয়ারচরে ১ জন, ভৈরবে ১ জন ও বাজিতপুরে ১ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০ টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত ৫, ৬, ৭ ও ৮ জুলাই (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৭ জুলাই বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ জন, তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৮ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ ও ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৫ জনসহ মোট ৫৮ জনের রেপিড এন্টিজেন টেস্টে ৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৩০ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২০ জন, করোনায় ২ জন ও সন্দেহজনক ৩ জনসহ মোট ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১০ জন। করোনা শনাক্তকৃত সদর উপজেলার ৫৫ বছর বয়সী একজন পুরুষ ও কটিয়াদী উপজেলার ৬০ বছর বয়সী একজন পুরুষ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার মৃত্যুবরণ করেন। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ১০৪ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩২ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৫ হাজার ৪০১ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ২৬২ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৭৬৯ জন, হোসেনপুরে ২৫ জন, করিমগঞ্জে ৩৯ জন, তাড়াইলে ৪০ জন, পাকুন্দিয়ায় ৬৮ জন, কটিয়াদীতে ৮৮ জন, কুলিয়ারচরে ২২ জন, ভৈরবে ১৪৮ জন, নিকলীতে ১০ জন, বাজিতপুরে ২৮ জন, ইটনায় ২৩ জন ও মিঠামইনে ২ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ১৭৬ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ৮৬ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় ভ্যাকসিনের জন্য কেউ রেজিস্ট্রেশন করেননি বলে সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৪৮১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সাইনোফার্ম ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৬৩ জন। গত ১৯ জুন থেকে সাইনোফার্ম ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ১ হাজার ৫৬৭ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫৯ হাজার ৩০৭ জন।