অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে নতুন করে (বুধবার রাত ৯ টা পর্যন্ত) ৭৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর মৃত্যু হয়েছে একজনের। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ হাজার ২০০ জন এবং মোট মৃত্যু হয়েছে ১১৩ জনের। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪৪ জন, করিমগঞ্জে ১ জন, তাড়াইলে ৩ জন, পাকুন্দিয়ায় ৭ জন, কটিয়াদীতে ২ জন, কুলিয়ারচরে ৫ জন, ভৈরবে ১ জন, নিকলীতে ১ জন, বাজিতপুরে ১০ জন, ও মিঠামইনে ১ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান বুধবার রাত পৌনে ১১ টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, ৮ জুলাই (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ২১২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ১৩ জুলাই বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৭০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া হোসেনপুর, করিমগঞ্জ, তাড়াইল, পাকুন্দিয়া, কটিয়াদী ও মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ১৬৪ জনের রেপিড এন্টিজেন টেস্টে ১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৬ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৯ জন, করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ জনের এবং সন্দেহজনক করোনায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১০ জন। কটিয়াদী উপজেলার ৭৫ বছর বয়সী একজন পুরুষ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার মৃত্যুবরণ করেন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ১১৩ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭৯ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৫ হাজার ৭০৯ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৩৭৮ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৭৩০ জন, হোসেনপুরে ৩৯ জন, করিমগঞ্জে ৬৪ জন, তাড়াইলে ৪৬ জন, পাকুন্দিয়ায় ১১৬ জন, কটিয়াদীতে ১৪৪ জন, কুলিয়ারচরে ১৭ জন, ভৈরবে ১২২ জন, নিকলীতে ১৭ জন, বাজিতপুরে ৪৬ জন, ইটনায় ২৫ জন, মিঠামইনে ১১ জন ও অষ্টগ্রামে ১ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ২৭২ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ১০৬ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৩ হাজার ৭৬৬ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৯৬ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সাইনোফার্ম ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২ হাজার ৯৯০ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫৯ হাজার ৩০৭ জন। এছাড়া গত ১৯ জুন থেকে সাইনোফার্ম ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ১০ হাজার ৫৭৫ জন।