নিজস্ব প্রতিবেদক: অদম্য বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার প্রতিচ্ছবি স্বপ্নের পদ্মা সেতু। যা এখন বাস্তব। দৃষ্টিসীমার দিগন্ত জুড়ে মর্যাদা ও সক্ষমতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। দেশের সর্ববৃহৎ (৬.১৫ কিলোমিটার) দীর্ঘ এই সেতু কোটি মানুষের আবেগ ও প্রাপ্তির এক অনন্য উপাখ্যান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্ব, অপরিমেয় সাহস, প্রজ্ঞা ও দৃঢ়তার প্রতীক পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন আজ। দেশের সক্ষমতার প্রতীক ও গর্বের এ সেতু উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণে প্রতিটি বাঙালির হৃদয় আনন্দে উদ্বেলিত। আনন্দের এ ঢেউ লেগেছে কিশোরগঞ্জেও।
ঐতিহাসিক এ অর্জনকে স্মরণীয় করে রাখতে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসন আয়োজন করে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য উৎসব ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
শনিবার সকালে কিশোরগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। কালেক্টরেট প্রাঙ্গণ থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে পুরাতন স্টেডিয়ামে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ বিপিএম (বার), জেলা পরিষদের প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এম. এ আফজল, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পারভেজ মিয়া, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চুসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পুরাতন স্টেডিয়ামে বড় পর্দায় জনসমাবেশে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়।
দিনব্যাপী অন্যান্য অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে সন্ধ্যা ৬টায় পুরাতন স্টেডিয়ামে ওপেন কনসার্ট, সন্ধ্যা ৭টায় আলোকসজ্জা, রাতে আতশবাজি, মাইকিং, পোস্টারিং, লিফলেট বিতরণসহ নানা আয়োজন। এছাড়া পুরাতন স্টেডিয়ামে পদ্মা সেতুর রেপ্লিকা স্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।