নিজস্ব প্রতিবেদক: অদম্য বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার প্রতিচ্ছবি স্বপ্নের পদ্মা সেতু। যা এখন বাস্তব। দৃষ্টিসীমার দিগন্ত জুড়ে মর্যাদা ও সক্ষমতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। দেশের সর্ববৃহৎ (৬.১৫ কিলোমিটার) দীর্ঘ এই সেতু কোটি মানুষের আবেগ ও প্রাপ্তির এক অনন্য উপাখ্যান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্ব, অপরিমেয় সাহস, প্রজ্ঞা ও দৃঢ়তার প্রতীক পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেন আজ । দেশের সক্ষমতার প্রতীক ও গর্বের এ সেতু উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণে প্রতিটি বাঙালির হৃদয় আনন্দে উদ্বেলিত। ঐতিহাসিক এ অর্জনের সাক্ষী হতে কিশোরগঞ্জের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের শিল্পীদেরও ডাক পড়েছে পদ্মা সেতুর মঞ্চে।
শনিবার সকালেই একটি সাংস্কৃতিক প্রতিনিধিদল কিশোরগঞ্জ থেকে রওনা হয়ে দুপুর নাগদ পৌঁছে যায়। সন্ধ্যা ৭টায় পদ্মা সেতুর মঞ্চ মাতাবেন তারা। মঞ্চে তারা পরিবেশন করবেন গীতি নৃত্যনাট্য মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতীর পালা। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে রয়েছেন কিশোরগঞ্জ মানবাধিকার নাট্য পরিষদের সভাপতি হারুন আল রশিদ, চর্যাপদ সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি আব্দুল ওয়াহাব, নাট্যকর্মী আবু জাবিদ ভূঁইয়া সোহেল, নৃত্যাঙ্গন একাডেমির সুব্রত দে টুনটুন ও তুলি ঘোষ।
হারুন আল রশিদ বলেন, বাঙালি জাতির গর্বের স্মারক পদ্মা সেতু। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্ব আর সাহসের প্রতীক। শত বাধা পেরিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ বাস্তবে রূপ নিয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পেরে কিশোরগঞ্জের সাংস্কৃতিক কর্মীরা আনন্দে উদ্বেলিত এবং আবেগাপ্লুত।
ঐতিহাসিক এই মাহেন্দ্রক্ষণের আনন্দধারাকে পুরো জাতির জন্য উৎসর্গ করেছেন তারা।