স্টাফ রিপোর্টার: কিশোরগঞ্জের গরুর হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছেনা। বেশিরভাগ ক্রেতা ও বিক্রেতার মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই। প্রশাসনের খুব একটা নজরদারিও দেখা যায়নি।
আজ শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ পৌর এলাকার শোলাকিয়া গরুর হাটে (ইচ্ছাগঞ্জ বাজার) গিয়ে দেখা গেছে বেশিরভাগ ক্রেতা-বিক্রেতা মাস্ক ব্যবহার করেননি। সামাজিক দূরত্বও মানা হয়নি। প্রশাসনের নজরদারিও ছিলনা তখন। মাস্ক ব্যবহার না করার কারণ সম্পর্কে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানান, মাস্ক পড়লে গরম বেশি লাগে। এ কারণে মাস্ক পড়েননি।
এদিকে গরুর হাটে ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি থাকলেও বড় গরুর কাছে ক্রেতারা খুব একটা ভিড়ছেননা। সদর উপজেলার কলাপাড়া গ্রামের গরু বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন জানান, তিনি দুটি গরু নিয়ে বাজারে এসেছেন। এরমধ্যে ছোট গরুটির জন্য বেশ কয়েকজন ক্রেতা এসে দরদাম করলেও বড় গরুটির কোন ক্রেতা তখন পর্যন্ত কেউ আসেনি। সদরের কর্শা কড়িয়াইল ইউনিয়নের তিলকনাথপুর গ্রামের আলতু মিয়া ১০টি বড় গরু নিয়ে শোলাকিয়া বাজারে এসেছেন। তিনি জানান, লোকজন তার গরু দেখতে ভিড় করছেন এবং ছবি তুলছেন। কিন্তু কেউ দরদাম করছেননা। বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত তার একটি গরুও বিক্রি হয়নি।
বাজারে প্রচুর গরু উঠলেও ক্রেতার সংখ্যা খুব একটা নেই বলে জানালেন বিক্রেতারা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, এ বছর জেলায় কোরবাণির গরুর চাহিদা রয়েছে ৭৫ হাজারটি। এর বিপরিতে গৃহস্তের ঘরে ও খামারে ৮১ হাজার ৩৩৭টি গরু রয়েছে। ফলে গরুর কোন ঘাটতি নেই।