নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে একটি সেগুন গাছ কে বা কারা কেটে ফেলেছে। এ ঘটনায় রেলওয়ে থানায় জিডি হয়েছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে ঘটনাটির তদন্তে কোন গতি হচ্ছেনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় শোক দিবসে কাঙালি ভোজ আয়োজনের জন্য গত ১৫ আগস্ট গোপনে গাছটি কেটে ফেলে রেলওয়েরই কতিপয় কর্মী। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে গাছটি রেলওয়ে থানায় ফেলে রেখে যায়। কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে গত ১৯ আগস্ট এ ব্যাপারে একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করা হয়।
কিশোরগঞ্জ রেলওয়ের মাস্টার ইউসুফ জানান, একটি অনুষ্ঠানে বাজার কমিটির কিছু লোক বক্তৃতায় বলেছেন, গাছটি মরা এবং ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। এ কারণে তারা নিজেরাই গাছটি কেটে রেলওয়ে থানায় নিয়ে রেখেছেন।
রেলওয়ে শ্রমিক লীগ ভৈরব বাজার শাখার সাধারণ সম্পাদক কিশোর নারায়ণ চৌধুরী জানান, গাছটি রেলের এবং এটির মূল্য আছে। গাছটি মরা বা জীবিত যাই হোক, কাটতে হলে কমিটি গঠন করতে হবে। টেন্ডার আহ্বান করতে হবে। কিন্তু এসব কিছুই মানা হয়নি। তিনি আরও জানান, ঘটনা শুনে তিনি রেলওয়ের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তারা গুরুত্ব দেননি। পরে তিনি নিজের ফেসবুকে স্টেটাস দিলে তড়িঘড়ি করে গাছটি জিআরপি থানায় নিয়ে রেখে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নামে কাঙালি ভোজের জন্য গাছ কাটা হলে সেটা বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা করার সামিল। এক্ষেত্রে রেলওয়ের কর্মী বা যে কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত করে শাস্তির আওতায় আনা দরকার। কিন্তু রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অপরাধীদেরকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
কিশোরগঞ্জ রেলওয়ে থানার ওসি মোহা. এমদাদুল হক বলেন, বিষয়টি তদন্ত করবো। জিডি হওয়ার চারদিনে তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, হঠাৎ করে তো তদন্ত শেষ হবেনা। তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।