আদালত প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জে বিস্ফোরক মামলায় ভারতীয় নাগরিক উলফা নেতা ও তার সহযোগীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: কামাল হোসেন আজ বুধবার বিকালে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন উলফা নেতা রঞ্জন চৌধুরী ওরফে মেজর রঞ্জন ওরফে প্রদীপ রায় (৭০) ও তার সহযোগী প্রদীপ মারাক (৫৫)। তাদের মধ্যে মেজর রঞ্জণ ভারতীয় নাগরিক আর প্রদীপ মারাক বাংলাদেশের শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার বাকাকুড়া গ্রামের বাসিন্দা।
কিশোরগঞ্জ আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট আবু সাঈদ ইমাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
মামলার বিরবণে জানা গেছে, আসামের নিষিদ্ধ সংগঠন উলফার শীর্ষ নেতা ভারতীয় নাগরিক মেজর রঞ্জন গোপনে অবৈধভাবে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে অবস্থান করছিলেন। এই তথ্যের ভিক্তিতে ২০১০ সালের ১৭ জুলাই ভৈরবের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে আবেদীন হাসপাতালের সামনে থেকে মেজর রঞ্জন ও তার সহযোগী প্রদীপ মারাককে গ্রেফতার করে র্যাবের একটি দল।
এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি রিভলবার ও বিপুল পরিমান বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র্যাব-৯ ভৈরব ক্যাম্পের তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক মো. করিম উল্লাহ বাদী হয়ে ঐ দিন তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে র্যাবের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুর রাজ্জাক ২০১০ সালের ২৯ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ রায় ঘোষনা করা হয়।