কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী পৌরসভার বাগরাইট এলাকার জনি মিয়া (২৬) নামে এক যুবক সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। তিনি বাগরাইট এলাকার বিল্লাল মিয়ার ছেলে।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে।
বাইসাইকেলে করে নাস্তা আনতে যাওয়ার সময় পিছন থেকে একটি প্রাইভেট কার ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
জনি মিয়া সৌদি আরবের জিজান শহরে একটি কোম্পানীতে কাজ করতেন। রাত্রীকালিন ডিউটি শেষে রুমে এসে হাত মুখ ধুয়ে নাস্তা আনার জন্য তিনি বাইসাইকেলে করে হোটেলে যাচ্ছিলেন। এ সময় পেছন দিক থেকে দ্রুতগামী একটি গাড়ি তাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। জনি মিয়ার সহকর্মী হাকিম ফোন করে তার বাড়িতে মৃত্যুসংবাদটি দিয়েছেন। এরপর থেকে তার বাড়িতে চলছে কান্নার মাতম।
পারবারিক সূত্রে জানা গেছে, মাত্র দেড় বছর পূর্বে তিনি সৌদি আরব যান। সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা আনতে ধার দেনা করে অতিকষ্টে প্রবাসে যান তিনি। অথচ এখনো তার ধার দেনা পরিশোধ হয়নি।
জনি মিয়ার পিতা বিল্লাল মিয়া কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ডে একটি সাইকেলের দোকানে কাজ করেন। তার অল্প আয় দিয়ে অতি কষ্টে সংসার চলে। তিনি জানান, তার দুই ছেলের মধ্যে জনি বড়। দেড় বছর আগে ধার দেনা করে বড় ছেলে জনি মিয়াকে সৌদি আরবে পাঠান তিনি। ছেলের পাঠানো টাকায় ইতোমধ্যে কিছু ধার দেনা পরিশোধ করা হয়েছে। এখনো অনেক ঋণ রয়ে গেছে। তিনি বলেন, কিভাবে এ ঋণ পরিশোধ করবো জানি না। সকালে জনির সহকর্মী মোবাইল ফোনে দুর্ঘটনার সংবাদ জানায়।
ছেলের লাশটা যেন দ্রুত দেশে আনার ব্যবস্থা করা হয়, সরকারের কাছে এ দাবি জানিয়েছেন তিনি।