অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে করোনায় নতুন করে (সোমবার রাত ১০ টা পর্যন্ত) ৩ জনের মৃত্যু এবং শনাক্ত হয়েছে ৯৬ জনের। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন ১২৯ জন এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ হাজার ৬০৪ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩৮ জন, হোসেনপুরে ১৭ জন, করিমগঞ্জে ৪ জন, পাকুন্দিয়ায় ৮ জন, কটিয়াদীতে ৩ জন, কুলিয়ারচরে ১৪ জন, ভৈরবে ১ জন, নিকলীতে ১ জন, বাজিতপুরে ১ জন, ইটনায় ২ জন, মিঠামইনে ৬ জন ও অষ্টগ্রামে ১ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান সোমবার রাত সোয়া ১১ টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, ১৮ ও ১৯ জুলাই (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ১২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ১৮ জুলাই বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল, হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, তাড়াইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কুলিয়ারচর উপজেরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মিঠামইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ৩২৬ জনের রেপিড এন্টিজেন টেস্টে ৬১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৩৮ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪২ জন, করোনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ৮০ বছর বয়সী একজন নারী, বাজিতপুর উপজেলার ৮৫ বছর বয়সী একজন পুরুষ ও কটিয়াদী উপজেলার ৬৫ বছর বয়সী একজন নারী গত রবিবার শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ১২৯ জন। এ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ৬ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৫ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৫ হাজার ৯৫১ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৫২৪ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৬৭৯ জন, হোসেনপুরে ৬৩ জন, করিমগঞ্জে ৪৬ জন, তাড়াইলে ৫৫ জন, পাকুন্দিয়ায় ১৪৯ জন, কটিয়াদীতে ১৯৪ জন, কুলিয়ারচরে ৪৪ জন, ভৈরবে ১৭১ জন, নিকলীতে ১৪ জন, বাজিতপুরে ৫২ জন, ইটনায় ৩২ জন, মিঠামইনে ২১ জন ও অষ্টগ্রামে ৪ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ৪৩৯ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ৮৫ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১ হাজার ১৩২ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৭৪৫ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সাইনোফার্ম ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ২ হাজার ১৪৭ জন। গত ১৯ জুন থেকে সাইনোফার্ম ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ২০ হাজার ২২০ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫৯ হাজার ৩০৭ জন।