পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা: মাদ্রাসাটি বন্ধ ২০১৯ সন থেকে। অথচ শিক্ষকদের বেতন ভাতা ও শিক্ষার্থীদের বই বরাদ্দ হচ্ছে নিয়মিত। কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার কোদালিয়া চিলাকাড়া হোসাইনিয়া আহম্মদিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার চিত্র এটি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৪ সনে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসাটি এমপিওভূক্ত হয় ১৯৯৭ সনে। বর্তমানে প্রধান শিক্ষকসহ পাঁচজন শিক্ষক কর্মরত। এরমধ্যে এমপিওভূক্ত শিক্ষক তিনজন। ২০১৮ সনের বার্ষিক পরিক্ষার পর থেকে নিয়মিত খোলা ও ক্লাস নেওয়া হয়না। ২০১৯ সালের বেশিরভাগ সময়ই বন্ধ ছিল। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয় কোভিড-১৯ এর কারণে। তখন থেকে আর খোলা হয়নি মাদ্রাসাটি।
স্থানীয়রা জানান, আগে রাস্তার পাশে মসজিদ সংলগ্ন স্থানে মাদ্রাসাটি ছিল। বর্তমান স্থানে গত বছর স্থানান্তর হওয়ার পর থেকে কোনদিন কোন শিক্ষার্থী বা শিক্ষককে দেখা যায়নি।
মাদ্রাসাটির দাতা হাজী আহম্মদ আলীর নাতি কোদালিয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন মোল্লা আনার জানান, করোনার সময় থেকেই মাদ্রাসাটি বন্ধ। গত দু-তিন ধরে মাদ্রাসাটি খুলে ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করা হচ্ছে।
মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মো. মোশাররফ হোসেন জানান, আমরা তিনজন শিক্ষক বেতন পাই ২৩০০ টাকা করে। বাকি দুজন কিছুই পায়না। শিক্ষার্থীদের নেই উপবৃত্তি। আমরা আশায় আছি সরকার একটা কিছু করবে। বন্ধ থাকা অবস্থায় বেতন নিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের বই তুলেছেন কিভাবে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলনা। এ বছর ভর্তি কার্যক্রম চলছে।
পাকুন্দিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়মিত বই বরাদ্দ দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বন্ধ থাকার বিষয়টি তাদের জানা নেই।
এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজলিন শহীদ চৌধুরী জানান, শিক্ষকদেরকে ডেকে তাদের কথা শুনবো। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।