নিজস্ব প্রতিবেদক: তিন দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কিশোরগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। আজ রবিবার দুপুরে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
কিশোরগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ব্যানারে প্রথমে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষকরা। পরে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে লেখা স্মারকলিপি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফারজানা খানমের কাছে হস্তান্তর করেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আহ্বায়ক মতিউর রহমান জাহাঙ্গীর, যুগ্ম আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন, আব্দুর রব, রমজান আলী, করিমগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বাচ্চু, পাকুন্দিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি মো. শহীদুল্লাহ, ভৈরব উপজেলা শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন সরকার প্রমুখ।
তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে অধিগ্রহণকৃত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিধিমালা-২০১৩ অনুযায়ী ৫০ ভাগ কার্যকর চাকুরিকালের ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠতা, পদোন্নতি, সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেল প্রদান এবং প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের উত্তোলিত টাইমস্কেল সংক্রান্ত জটিলতার সমাধান। পাশাপাশি ২০২০ সালের ১২ আগস্ট অর্থমন্ত্রণালয় কর্তৃক জারীকৃত পত্র বাতিল ও প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের রায় বাস্তবায়ন করা এবং এসএমসি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদেরকে গেজেটভূক্ত করা।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আহ্বায়ক মতিউর রহমান জাহাঙ্গীর বলেন, ১৯৭৩ সনে বঙ্গবন্ধু ৩৬ হাজার ১৬৫ টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কর্মরত শিক্ষকদের চাকুরি জাতীয়করণ করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি দেশের ২৬ হাজার ১৯৩ টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং কর্মরত ১ লাখ ৪ হাজার ৭৭২ জন শিক্ষকদের চাকুরি জাতীয়করণ করে শিক্ষক ও তাদের পরিবারের কাছে চির কৃতজ্ঞ হয়ে আছেন। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় এই বিশাল সাফল্য যেন এককভাবে আওয়ামী লীগ ঘরে তুলতে না পারে, সেজন্য প্রশাসনের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা একটি অসাধু চক্র অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিন দফা দাবি আদায় না হলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবেও জানান তিনি।