নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের তমালতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অলিমা রাবেয়া কিবরিয়া এবার পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষায় সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পেয়েছিল। কিন্তু পরিবর্তিত ফলাফলে তার নাম নেই। তার মতো ফাহমিদা আক্তার প্রমী, অরিত্র দেবনাথ অরূপ, আফঈদা সুলতানা নূসরাসহ অনেকেই রয়েছে, যারা প্রথম ধাপের ফলাফলে বৃত্তি পেয়েছিল। কিন্তু পরিবর্তিত ফলাফলে তাদের নাম বাদ পড়ে। এমন অবস্থায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে তারা।
আজ সোমবার সকালে কিশোরগঞ্জ শহরের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরে শিশু অধিকার সুরক্ষা মঞ্চের ব্যানারে মানববন্ধন করে বৃত্তিবঞ্চিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। মানববন্ধনে বৃত্তিবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। তাদের এক কথা, “আমরা বৃত্তি পেয়েছি। কিন্তু আমাদের বৃত্তি কেড়ে নিয়ে আমাদের প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।”
অভিভাবকদের মধ্যে শামসুন্নাহার রীমা বলেন, বৃত্তি পাওয়ার খবরে আমরা সকলেই আনন্দে আত্মহারা হয়েছিলাম। কিন্তু পরিবর্তিত ফলাফলে আমরা হতাশ হয়েছি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সন্তান। তাকে কোনভাবেই বোঝাতে পারছিনা। তার মানসিক অবস্থা বলে বোঝানোর মতো নয়।
মানববন্ধনে কিশোরগঞ্জ নাগরিক অধিকার সুরক্ষা মঞ্চের আহ্বায়ক শেখ সেলিম কবির বলেন, শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বন্ধ করতে হবে। বৃত্তির ফলাফল নিয়ে যা হয়েছে, সেটার জন্য রাষ্ট্রের দায় রয়েছে। এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা এবং প্রথম ধাপের ফলাফলের সঙ্গে সমন্বয় করে আবারও ফলাফল ঘোষণার দাবি জানান তিনি। অন্যথায় উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলে ঘোষণা দেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তির ফল ঘোষণা করার কয়েক ঘন্টা পরই কারিগরি ত্রুটি দেখিয়ে ফলাফল বাতিল করে কর্তৃপক্ষ। পরে নতুন করে যে ফলাফল ঘোষণা করা হয়, সেখানে প্রথম ধাপে ঘোষিত বৃত্তিপ্রাপ্ত অনেকেরই নাম বাদ পড়ে।