অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে করোনায় নতুন করে (মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত) ১২২ জনের করোনা শনাক্ত এবং ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮ হাজার ৫৮২ জন এবং মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ১৪২ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৫২ জন, তাড়াইলে ৩ জন, পাকুন্দিয়ায় ১০ জন, কটিয়াদীতে ৫ জন, কুলিয়ারচরে ৪ জন, ভৈরবে ৯ জন, নিকলীতে ৫ জন, বাজিতপুরে ১৬ জন, ইটনায় ৬ জন, মিঠামইনে ৬ জন ও অষ্টগ্রামে ৬ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, ১৯,২৪, ২৫, ২৬ ও ২৭ জুলাই (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ২৬ জুলাই বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১২১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ জন, কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ২৪ জন, কিশোরগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে ১ জন, তাড়াইলে ১৩ জন, পাকুন্দিয়ায় ৮৯ জন, কটিয়াদীতে ৬ জন, কুলিয়ারচরে ৯ জন, ভৈরবে ৯ জন, নিকলীতে ৪ জন, বাজিতপুরে ১৪ জন, ইটনায় ১৪ জন, মিঠামইনে ১১ ও অষ্টগ্রামে ১২ জনসহ মোট ২০৯ জনের রেপিড এন্টিজেন টেস্টে ৫৩ জনের করোনার উপসর্গ পাওয়া যায়।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৩১ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৫ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১০ জন। এ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ জন। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ৭৭ ও ৭০ বছর বয়সী দুজন পুরুষ সোমবার শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ১৪২ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৮৭ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৬ হাজার ৩৬৪ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৭৬ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৯০৮ জন, হোসেনপুরে ১৪৩ জন, করিমগঞ্জে ৩৮ জন, তাড়াইলে ৬৩ জন, পাকুন্দিয়ায় ১৯৬ জন, কটিয়াদীতে ২৮৬ জন, কুলিয়ারচরে ৫৬ জন, ভৈরবে ১৯২ জন, নিকলীতে ২৯ জন, বাজিতপুরে ৯৬ জন, ইটনায় ৩১ জন, মিঠামইনে ২৪ জন ও অষ্টগ্রামে ১৪ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ৯৯৯ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ৭৭ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৭ হাজার ৮৪১ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১ লক্ষ ৮১ হাজার ৯২০ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সাইনোফার্ম ভ্যক্সিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৩ হাজার ৪৩৮ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২৮৯ জন। গত ১৯ জুন থেকে সাইনোফার্ম ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ৩২ হাজার ১৯২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৫৮২ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫৯ হাজার ৩০৭ জন।