নিজস্ব প্রতিবেদক: তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা নিষিদ্ধ, পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ন্ত্রণ বিধান বাস্তবায়ন ও তামাক কোম্পানীর আগ্রাসন নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছে জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি (নাটাব)।
আজ বুধবার বিকালে কিশোরগঞ্জ শহরের কালীবাড়ি মার্কেটস্থ একটি মিডিয়া হাউজে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
নাটাব আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তামাকের ধোঁয়ায় সাত হাজারের বেশি ক্ষতিকর রাসায়নিক রয়েছে, যা শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করে। এদের মধ্যে ৭০ টি মানবদেহে ক্যান্সার সৃষ্টি করে। তামাককে প্রাণঘাতি নেশাদ্রব্য ও মাদক সেবনের প্রবেশপথ উল্লেখ করে বলা হয় তামাক চাষ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সেবন প্রতিটি ধাপে জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ ও অর্থনীতির ক্ষতি করে। সংবাদ সম্মেলনে ২০২০ সালে প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপের উদ্বৃতি দিয়ে বলা হয়, তামাক সেবনের ফলে প্রতিবছর পৃথিবীতে প্রায় ৮০ লক্ষাধিক মানুষ মারা যায়। এরমধ্যে পরোক্ষ ধূমপানে মারা যায় ১২ লক্ষাধিক মানুষ।
বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের ভয়াবহতা উল্লেখ করে বলা হয়, তামাকজনিত রোগে প্রতিবছর বাংলাদেশে ১ লক্ষ ৬১ হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের মোট মৃত্যুর ২৫.৫৪ শতাংশ ও নারীদের মোট মৃত্যুর ৯.৭ শতাংশের জন্য দায়ী তামাক। যা উন্নয়নশীল যে কোন দেশে তামাকজনিত গড় মৃত্যুর তুলনায় বেশি বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন নাটাবের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ফিরোজ আহমেদ। এ সময় নাটাবের কর্মসূচি কর্মকর্তা (জনস্বাস্থ্য) মো. রবিউল ইসলাম ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।