নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় অবশেষে ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পেলেন হামলাকারীরা। আজ বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পা ধরে ক্ষমা চান তারা।
এ সময় কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মোহাম্মদ মুশতাকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান, চান্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম ফকির ও সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বোরহান উদ্দিন খান, কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মোস্তফা কামাল নান্দুসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান জানান, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রধান শিক্ষকের পা ধরে ক্ষমা চেয়েছেন। এতে করে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। আর হামলায় ব্যবহৃত দেশিয় অস্ত্র আগেই উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিদ্যালয়ের জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) কটিয়াদী উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়নের হযরত মিয়া চান্দ শাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ নজরুল ইসলামের সঙ্গে স্থানীয় আনসার–ভিডিপির সহকারী প্লাটুন কমান্ডার রাবিয়া খাতুনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রাবিয়া, তার স্বামী বাচ্চু মিয়া ও তাদের লোকজন চাকু, রামদা, শাবল, লাঠিসহ বিভিন্ন দেশিয় অস্ত্র নিয়ে চড়াও হন প্রধান শিক্ষকের ওপর। খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গিয়ে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার এবং রাবিয়া খাতুনকে আটক করে। এ সময় রাবিয়ার স্বামী বাচ্চু মিয়া ও অন্যরা পালিয়ে যান। খবর পেয়ে ইউএনও ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের সহায়তায় হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো উদ্ধার করেন এবং রাবিয়াকে থানায় নিয়ে যান।
এ ঘটনায় আজ বুধবার ইউএনও উভয়পক্ষকে তার কার্যালয়ে ডেকে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।
হামলার শিকার প্রধান শিক্ষক সৈয়দ নজরুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রাবিয়া খাতুন মিথ্যা মামলা করেন। এ নিয়ে মঙ্গলবার কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তার ওপর হামলা চালায় রাবিয়া ও তার স্বামী।
চাকু নিয়ে প্রধান শিক্ষকের ওপর হামলার বিষয়টি স্বীকার করে রাবিয়া বলেন, ইউএনও অফিসে সকলেই পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতে বললে তিনি ক্ষমা চান এবং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি তুলে নিবেন।