অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে করোনায় নতুন করে (রবিবার রাত ১০ টা পর্যন্ত) ৫ জনের মৃত্যু এবং শনাক্ত হয়েছে ১২৪ জনের। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন ১২৬ জন এবং আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ হাজার ৫০৮ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৩৮ জন, হোসেনপুরে ৭ জন, করিমগঞ্জে ২ জন, পাকুন্দিয়ায় ৬ জন, কটিয়াদীতে ২৫ জন, কুলিয়ারচরে ১০ জন, ভৈরবে ২২ জন, বাজিতপুরে ১০ জন, ইটনায় ৩ জন ও মিঠামইনে ১ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান রবিবার রাত সোয়া ১১ টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, ১৪ জুলাই (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ২৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ১৭ জুলাই বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ৩৪ জন, হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩৭ জন, কুলিয়ারচর উপজেরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১২ জন, ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২ ও ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ১৮ জনসহ মোট ১০৩ জনের রেপিড এন্টিজেন টেস্টে ৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৪১ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ২৩ জন, করোনায় ৩ জন ও সন্দেহজনক করোনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ৫৫ বছর বয়সী একজন পুরুষ, ৫০ বছর বয়সী একজন নারী এবং নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার ৭০ বছর বয়সী একজন নারী গত শনিবার শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া ভৈরব উপজেলার ৭৫ বছর বয়সী একজন পুরুষ গত ১৪ জুলাই, ৮৫ বছর বয়সী একজন নারী গত ১৬ জুলাই এবং কুলিয়ারচর উপজেলার ৬৫ বছর বয়সী একজন পুরুষ গত ১০ জুলাই নিজ নিজ বাড়িতে মৃত্যুবরণ করেন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ১২৬ জন। এ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ৯ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৫৯ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৫ হাজার ৯০৬ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৪৭৬ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৬৭০ জন, হোসেনপুরে ৪৬ জন, করিমগঞ্জে ৫৯ জন, তাড়াইলে ৫৫ জন, পাকুন্দিয়ায় ১৪১ জন, কটিয়াদীতে ১৯২ জন, কুলিয়ারচরে ৩০ জন, ভৈরবে ১৭০ জন, নিকলীতে ১৩ জন, বাজিতপুরে ৫২ জন, ইটনায় ৩০ জন, মিঠামইনে ১৫ জন ও অষ্টগ্রামে ৩ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ৩৭৬ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ১০০ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১ হাজার ৪৫৯ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৬১৩ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সাইনোফার্ম ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ২ হাজার ৩৭৮ জন। গত ১৯ জুন থেকে সাইনোফার্ম ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ১৮ হাজার ৭৩ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫৯ হাজার ৩০৭ জন।