সিঙ্গাপুর থেকে ইয়াছিন আরাফাত: সিঙ্গাপুরে ইদুল ফিতরের সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে পেনজুরু মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স রিক্রিয়েশন সেন্টারে।
এখানে ঈদের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় সিঙ্গাপুর স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে এবং দ্বিতীয়টি হয় সকাল ৯ টায়।
এখানকার বেশীরভাগ মুসল্লিই বাংলাদেশি। ঈদের জামাত শুরু হওয়ার আগেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় সেন্টারটি। ঈদের প্রথম জামাতে ইমামতি করেন আব্দুল কাইয়ুম। তার বাড়ি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলায়। তিনি সিঙ্গাপুর শিপইয়ার্ডে প্রায় ১৪ বছর ধরে চাকুরি করছেন।
ঈদের দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন মাসুম মিয়া। তার বাড়ি বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট এলাকায়। তিনি প্রায় সাত বছর ধরে এখানে আছেন।
উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুর ম্যানপাওয়ার মিনিস্ট্রি থেকে ঈদের জামাতের ইমাম মনোনীত করা হয়।
ঈদের জামাত আয়োজনের মূল দায়িত্বে ছিলেন ঢাকার দোহার এলাকার লুৎফুর রহমান ও কেরাণীগঞ্জের ইকবাল হোসেন। লুৎফুর রহমান জানান, সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় পেনজুরু মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স রিক্রিয়েশন সেন্টারে। মুসল্লিদের সুবিধার্থে এবং তাদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার জন্য ঈদের জামাতে সিঙ্গাপুর প্রবাসী ৬০/৭০ জন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আয়োজক কমিটির অন্যতম সদস্য ইকবাল হোসেন জানান, ঈদের নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিদেরকে নিয়ম মেনে লাইন ধরে সুশৃঙ্খলভাবে ভিতরে প্রবেশ করতে হয়েছে। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের জুয়েল, নরসিংদীর মাসুম মোল্লা, শরীয়তপুরের সুমন, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার গচিহাটা এলাকার মফিজ উদ্দিন, কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার চরপুমদী এলাকার মাহবুব আলম, টাঙ্গাইলের আনজু প্রমুখ। নরসিংদীর মাসুম মোল্লা প্রায় ছয় বছর ধরে সিঙ্গাপুরে চাকরি করছেন। দেশের বাইরে ঈদের বড় জামাতে নামাজ আদায় করতে পেরে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন তিনি। কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার চরপুমদী এলাকার মাহবুব আলম বলেন, আমরা প্রবাসীরা একে অপরের সঙ্গে মিলেমিশে ঈদের আনন্দ উপভোগ করেছি।
এখানে ঈদের দুটি জামাতে প্রায় পাঁচ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করেছেন। বাংলাদেশি ছাড়াও ভারত ও মিয়ানমারের মুসল্লিরাও ছিলেন। তবে মুসল্লিদের
বেশীরভাগই বাংলাদেশি।