নিজস্ব প্রতিবেদক: কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক রথখলা ময়দান ও পুকুর সংরক্ষণ বিষয়ে নাগরিক পরামর্শ সভা ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
পরিবেশ রক্ষায় সচেতন কিশোরগঞ্জবাসীর ব্যানারে রথখলা ময়দানে আজ শনিবার বিকালে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ শরীফ আহমেদ সাদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি এডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আমিনুল ইসলাম রতন, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান, কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি বাদল রহমান, গুরুদয়াল সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ফরিদ আহাম্মদ, এডভোকেট শেখ ফারুক আহাম্মদ, কিশোরগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক প্রণব কুমার সরকার, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইয়াকুব সুমন প্রমুখ।
বক্তাগণ বলেন, রথখলার ময়দান ও পুকুর কিশোরগঞ্জের অন্যতম ঐতিহাসিক নিদর্শন। এই নিদর্শনের ওপর ভূমিদস্যুদের শ্যেনদৃষ্টি পড়েছে। ইতোমধ্যে রথখলা ময়দান ও পুকুরের বেশকিছু অংশ ভরাট করে দখলের প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। সভায় বক্তাগণ যে কোন মূল্যে ঐতিহাসিক এই নিদর্শন রক্ষার অঙ্গীকার করেন।
বক্তাগণ আরো বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলন হয়েছিল রথখলায়। শুধু তাই নয়, স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম পাদপীঠ এই রথখলা ময়দান। এই ময়দানে বৃটিশবিরোধী আন্দোলনের সময় মানুষকে উদ্দীপ্ত করেছেন নেতৃবৃন্দ। রথখলা ময়দানকে জনগণের সামাজিক সম্পদ উল্লেখ করে তারা এই ময়দানকে প্রাচীন ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানান।
সভায় রথখলা পুকরটিকে ভূমি রেকর্ডের নকশা অনুযায়ী পূর্ণ অবয়বে ফিরিয়ে আনা, সংস্কার ও প্রয়োজনে খনন করা, রথখলা পুকুরের পাড় দিয়ে রেলিংসহ ওয়াকওয়ে নির্মাণ এবং পূর্ব ও পশ্চিম পাশে দুটি ঘাট নির্মাণের দাবি জানানো হয়।
সভায় কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবুজর গিফারি ও কিশোরগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক নয়ন কুমার রায় পরিবেশ সংরক্ষণে রথখলা পুকুরসহ অন্যান্য পুকুরের গুরুত্ব বিষয়ে আলোকপাত করে এগুলো রক্ষায় জনসচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভা সঞ্চালনা করেন কিশোরগঞ্জ বড় বাজার ব্যবসায়ী সীমিতর সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিলু।
এর আগে রথখলা পুকুর পাড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।