অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট: কিশোরগঞ্জে করোনায় নতুন করে (রবিবার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত) ১৭৫ জনের করোনা শনাক্ত এবং ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮ হাজার ২৯০ জন এবং মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ১৩৭ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ১১৫ জন, হোসেনপুরে ১৯ জন, করিমগঞ্জে ৯ জন, তাড়াইলে ২ জন, পাকুন্দিয়ায় ৮ জন, কটিয়াদীতে ৪ জন, কুলিয়ারচরে ১ জন, ভৈরবে ৪ জন, নিকলীতে ৪ জন, বাজিতপুরে ৪ জন, ইটনায় ১ জন, মিঠামইনে ৩ জন ও অষ্টগ্রামে ১ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান রবিবার রাত ১১টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরও জানান, ২৩, ২৪ ও ২৫ জুলাই (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরী রোগীসহ) ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে ২৪ জুলাই বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ১৫০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ৩৫ জন, কিশোরগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে ১০ জন, হোসেনপুরে ৫১ জন, করিমগঞ্জে ১৯ জন, ভৈরবে ১০ জন, নিকলীতে ৫ জন, ইটনায় ৩৩ জন ও মিঠামইনে ১২ জনসহ মোট ১৭৫ জনের রেপিড এন্টিজেন টেস্টে ৪৪ জনের করোনার উপসর্গ পাওয়া যায়।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৩৩ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১২ জন এবং আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১০ জন। এ হাসপাতালে ১ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে। পাকুন্দিয়া উপজেলার ৮৮ বছর বয়সী একজন পুরুষ শনিবার শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ১৩৭ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪৭ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৬ হাজার ১৮৩ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৯৭০ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৯৫০ জন, হোসেনপুরে ১৪২ জন, করিমগঞ্জে ৩৭ জন, তাড়াইলে ৪৩ জন, পাকুন্দিয়ায় ১৭২ জন, কটিয়াদীতে ২৪৫ জন, কুলিয়ারচরে ৩৩ জন, ভৈরবে ১৯৩ জন, নিকলীতে ২১ জন, বাজিতপুরে ৮৪ জন, ইটনায় ২২ জন, মিঠামইনে ২২ জন ও অষ্টগ্রামে ৬ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ৮৯৪ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ৭৬ জন।
গত ২৪ ঘন্টায় টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৩ হাজার ৩৭ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১ লক্ষ ৭০ হাজার ৪২২ জন। গত ২৪ ঘন্টায় সাইনোফার্ম ভ্যক্সিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২ হাজার ৯৭৪ জন। গত ১৯ জুন থেকে সাইনোফার্ম ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন মোট ২৫ হাজার ৬২১ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫৯ হাজার ৩০৭ জন।